বুড়িচংয়ে পূজা উদযাপনে থাকবে সেনাবাহিনী-পুলিশের নিরাপত্তা বলয়
আপডেট সময় :
২০২৫-০৯-১৬ ১৭:২০:০৬
বুড়িচংয়ে পূজা উদযাপনে থাকবে সেনাবাহিনী-পুলিশের নিরাপত্তা বলয়
মোঃ আবদুল্লাহ বুড়িচং।।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তানভীর হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, পূজা উদযাপন পরিষদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, এ বছর বুড়িচং উপজেলায় মোট ৪১টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে। পূজামণ্ডপগুলোর নিরাপত্তা ও সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও মো. তানভীর হোসেন বলেন, “আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে পূজামণ্ডপে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিদ্যুৎ ব্যবহার ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে প্রতিটি মণ্ডপকে সচেতন থাকতে হবে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি দ্রুত সাড়া দিতে টহল টিম মাঠে থাকবে।”
সভায় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোনিয়া হক, ১২ বীরের প্রতিনিধি লেফটেন্যান্ট এহসান, বুড়িচং থানার সেকেন্ড অফিসার মো. রাকিবুল হাসান, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. কবির হোসেন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন।
এছাড়া জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা জেলা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মো. আবদুল মান্নান, উপজেলা ফরেস্ট কর্মকর্তা ইসরাত হামিদ কাউসার, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মধুসূদন দত্ত, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রতিনিধি ডাক্তার ফরহাদ আবেদীন ভূঁইয়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপজেলা সুপারভাইজার মো. হাবিবুর রহমান ও উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন, বুড়িচং সদর ইউনিয়নের মেম্বার মো. জহিরুল ইসলাম ও মো. জসিম উদ্দিন মোল্লা, রাজাপুর ইউনিয়নের মেম্বার জাহাঙ্গীর আলম এবং পীরযাত্রাপুর ইউনিয়নের মেম্বার আবদুল হক। পাশাপাশি উপজেলার ৪১টি পূজামণ্ডপের সভাপতি ও সম্পাদক সভায় অংশ নেন।
সভায় সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, নামাজের সময় সকল পূজামণ্ডপে বাদ্যযন্ত্র বন্ধ রাখতে হবে। বিদ্যুতের নতুন ও লোড অনুযায়ী সংযোগ নিশ্চিত করতে হবে এবং প্রতিটি মণ্ডপে বিকল্প জেনারেটর ও চার্জার লাইট রাখতে হবে। পূজামণ্ডপ এলাকায় ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। এছাড়া প্রতিটি পূজামণ্ডপকে উপজেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে।
সভায় জানানো হয়, পূজা উদযাপনকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত টিম মোতায়েন থাকবে, সেনাবাহিনী নিয়মিত টহল দেবে এবং সীমান্তবর্তী মণ্ডপগুলোতে বিজিবি মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস, আনসার ও গ্রাম পুলিশও সহযোগিতা করবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin
কমেন্ট বক্স